যৌবনের হাতছানি
-শুভঙ্কর অধিকারী
না, আর পারি না আগের মত দৌড় ঝাঁপির জীবন,
চলন্ত ট্রেনে, বাসে ওঠা নামা হয়না আগের মতন!
পেশির জোর নেইকো যে আজ রক্তও গেছে জমে,
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বার্ধক্য এসেছে নেমে!
মাসে দুবার সেলুন যাওয়া রাখতে চুলের বাহার!
রকমারি পারফিউমে মম্ তখন সারা শরীর আমার!
সে সব যেন আজ সবই অতীত মাথায় পরেছে টাক,
যৌবন আজ স্মৃতির পাতায় শরীরে বার্ধ্যকের ছাপ!
স্টাইলে হিরো চোখে সানগ্লাস ঠোঁটে রোমান্টিক গান,
নারী মহলে সুপুরুষ যে তখন জ্বলন্ত সিগারেটে সুখটান!
চোখে এখন আবছা সবই কানেও শুনি কম!
বার্ধক্যের দ্বারে হাতছানি দেয় যৌবনের সেই উদ্দাম!
দুর্গম পথ শুধু অভিযানে ডাকে অ্যাডভেঞ্চারের নেশা চোখে
রক্ত তখন ফোটে টগবগিয়ে প্রতিটা চ্যালেঞ্জের মুখে!
সে রক্তে আজ প্রেশার বেশি হাঁটলে ও হাঁপিয়ে উঠি,
বার্ধক্যের ভরে শরীর নুঁয়েছে সঙ্গী হয়েছে লাঠি!!
প্রাইভেট সংস্থাতেই জীবিকা শুরু চল্লিশটা বছর করেছি পার!
এরই মাঝে বিয়ে, বৌ ছেলেমেয়ে নাতিপুতি নিয়ে স্বপ্নের সংসার!
আমার মিসেস সেই লাজুক রূপসী এখনো সে করে যতন,
বার্ধক্য তাকে যেন ছুঁতে পারেনি আছে সেই আগেরই মতন!
রোগ ব্যাধিতে হাঁপিয়ে উঠেছি বদ্ধ যে আপন ঘরে!
যৌবন তবুও হাত নেড়ে ডাকে জানালার ওই পাড়ে!
বার্ধক্য আজ জীবনের রং চেনালো চেনালো যে তার রূপ!
বার্ধক্য মানে সংসারের বোঝা যেন আবর্জনার স্তূপ!